বিশ্বব্যাপী এমপক্স ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে বাংলাদেশও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। গত শনিবার (১৭ আগস্ট) রাত থেকে এই নির্দেশনা জারি করা হয়।
বিমানবন্দরে আগত যাত্রীদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা এবং সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের শনাক্ত করার জন্য থার্মাল স্ক্যানার ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানান, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক উইং কমান্ডার তসলিম আহমেদ।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা এমপক্স ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সর্বাত্ক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সমস্ত যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য তারা পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছে। কোন যাত্রী যদি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে থাকেন, তাকে সঙ্গে সঙ্গে অন্যদের থেকে আলাদা করে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তারা আরও জানায়, গেল শনিবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে যাত্রীদের স্ক্রিনিং করা শুরু হয়েছে। প্রতিটি শিফটে তিনজন চিকিৎসক যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন। এখন পর্যন্ত কোনো সংক্রমিত ব্যক্তি শনাক্ত হয়নি। তবে কর্তৃপক্ষ সকল যাত্রীদের নিশ্চিত করেছে যে, তারা যাত্রীদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে।
এর আগে, মাংকিপক্স ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট এমপক্স রোগ বর্তমানে বিশ্বের জন্য একটি গুরুতর চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রায় ১১৬টি দেশে এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে, যা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগের কারণ হয়েছে। এই রোগটির লক্ষণগুলোর মধ্যে জ্বর, মাথাব্যথা, শরীরে ফুসকুড়ি ইত্যাদি অন্যতম। এই ভাইরাসটি মানুষ থেকে মানুষে এবং প্রাণী থেকে মানুষে ছড়ায়।
তবে এই ভাইরাসটি আক্রান্ত ব্যক্তি, আক্রান্ত বস্তু বা প্রাণীর সংস্পর্শে এলে ছড়াতে পারে। ঘনিষ্ঠ শারীরিক যোগাযোগ, সংক্রমিত ত্বক বা শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে এই ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়তে পারে।