বিশ্বজুড়ে বাড়ছে এমপক্স ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব। আফ্রিকা, ইউরোপের পর এবার এশিয়ার পাকিস্তানে সর্বশেষ তিনজন রোগী শনাক্ত হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিওএইচও) এ ভাইরাস নিয়ে সতর্কতা জারি করেছে। এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশেও বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. শেখ দাউদ আদনান বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একটি পাবলিক হেলথ ইমার্জেন্সি জারি করেছে। তাদের এই নির্দেশনার প্রেক্ষিতে আমরা হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরে বিশেষ সতর্কতা জারি করেছি।
তিনি বলেন, বিদেশ ফেরত কোনো যাত্রীর শরীরে গুটি বা ফুসকুড়ি দেখা দিলে তাদের আইসোলেশনে নেওয়ার নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এসব রোগীদের আইসোলেশনে রাখতে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল এবং সংক্রামোক রোগ হাসপাতাল প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
দেশ ও দাতা সংস্থাগুলোকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে উদ্বুদ্ধ করতে ডব্লিওএইচওর জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়। এ ঘোষণা সংক্রামিত এলাকায় পরীক্ষা, টিকা এবং ওষুধ পাওয়া সহজ করে। এ ছাড়াও এটি ভাইরাস নিয়ে বিদ্যমান কুসংস্কার দূর করার লক্ষ্যে সচেতনতামূলক প্রচারণা বাড়াতে সাহায্য করে।
তবে, আগের ঘোষণা মোতাবেক বিশ্বব্যাপী মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। আফ্রিকার সেন্টার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) পরিচালক ডা. জিন কাসেয়া জানান, এ ঘোষণা আফ্রিকার সংস্থা ও সংস্থাগুলোকে সিদ্ধান্তমূলকভাবে দ্রুত কাজ করতে উৎসাহ জোগাবে। আফ্রিকায় দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়া এ রোগের জন্য খুব কমই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তাই আফ্রিকার আন্তর্জাতিক অংশীদারদের কাছে তিনি সাহায্য চেয়েছেন।
লন্ডন স্কুল অফ হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিনের অধ্যাপক মাইকেল মার্কস বলেন, বর্তমানে এ রোগের নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিগুলো কাজ না করায় আরও সাহায্যের দরকার। সাহায্যের প্রয়োজনে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে হবে।