শ্যাডো ইন্টারন্যাশনালের প্রতারণায় হাজার হাজার মানুষের স্বপ্ন ভেঙে গেছে। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যেতে চাওয়া অনেক বাংলাদেশিকে লক্ষ্য করে এই প্রতিষ্ঠানটি ভুয়া ভিসার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। এমনকি, ভুক্তভোগীরা পুলিশে অভিযোগ করতে গেলে পল্লবী থানা তাদের অভিযোগ গ্রহণ করা করছেনা।
ভুক্তভোগী সকল অভিযোগকারীর পক্ষে মো. আনিসুর রহমান অভিযোগে বলেন, শ্যাডো ইন্টারন্যাশনালের কর্মকর্তারা তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে কয়েক লাখ টাকা পর্যন্ত নিয়েছে। কিন্তু ভিসা পাওয়ার পরিবর্তে তারা প্রতারিত হয়েছে।
আজ সোমবার (১৯ আগস্ট) সচিবালয়ের সামনে এক মানববন্ধনে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, শ্যাডো ইন্টারন্যাশনালের কর্মকর্তারা তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে কয়েক লাখ টাকা পর্যন্ত নিয়েছে।
কিন্তু ভিসা পাওয়ার পরিবর্তে তারা প্রতারিত হয়েছে। তারা দাবি করেন, পুলিশ তাদের অভিযোগ গ্রহণ করছে না। এতে করে তারা আইনের আশ্রয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা পল্লবী থানায় মামলা করতে গেলে পল্লবী থানার ওসি আমাদের মামলা নেবে না বলে জানিয়ে দেন। শ্যাডো ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড আমাদের কাছ থেকে আনুমানিক ২ হাজার কোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।
আমাদের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে এবং সকল অপরাধীদেরকে আইনের আওতায় এনে প্রতারণা আইনের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান এবং আমাদের সকলের টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে আবেদন করতে এসেছি।
উল্লেখ্য, শ্যাডো ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের প্রতারণা এবং পল্লবী থানার অবহেলা একটি গুরুতর সমস্যা। সরকারকে এই বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে ভুক্তভোগীদের ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি, এই ধরনের প্রতারণা রোধ করার জন্য কঠোর আইন প্রণয়ন করা জরুরি।