স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীরা স্পেশালাইসড কেয়ার ইউনিটের আওতায় বিনামূল্যে চিকিৎসা পাবেন। সেই সঙ্গে বেসরকারি হাসপাতালগুলোতেও বিনা খরচে চিকিৎসার সুযোগ পাবেন বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
শনিবার (১৭ আগস্ট) বিকেলে কুর্মিটোলা হাসপাতালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় হাসনাত আব্দুল্লাহ জানান, গত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগ দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। উন্নয়নের নামে হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়েছে। কিন্তু স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থা আর হাসপাতালে চলতে দেয়া হবে না। রাজনৈতিক বলয় ও লালফিতার দৌরাত্ম্য শেষ করা হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এ সমন্বয়ক আরও জানান, ৯০ দিনের মধ্যে জনমুখী স্বাস্থ্যখাত গড়ে তোলা সম্ভব বলে আশ্বাস দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
যারা সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদা বা বিশেষ সুবিধা চাইবে তাদের ধরে পুলিশে দেয়ার আহ্বান জানান হাসনাত আব্দুল্লাহ।
এর আগে আরেক সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীরা রাজধানীসহ সারা দেশের সরকারি হাসপাতালে সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছেন না। হাসপাতালগুলোতে শয্যার বিপরীতে দ্বিগুণ রোগী রয়েছেন।
এ সময় আহতদের রাষ্ট্রীয় খরচে চিকিৎসা নিশ্চিতের দাবি জানিয়ে সারজিস বলেন, সরকারি হাসপাতালে শয্যা সংকট থাকলে আহতদের বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা দিতে হবে। কিন্তু বেসরকারি হাসপাতালগুলো আন্দোলনকারীদের কাছ থেকে চিকিৎসার নামে লাখ লাখ টাকা আদায় করেছে। এসব টাকা ফেরত দিতে হবে।
এই সমন্বয়ক আরও বলেন, আন্দোলন চলাকালে হাসপাতালের রেজিস্টার খাতা ও সিসিটিভি ফুটেজ তৎকালীন রাষ্ট্রীয় বাহিনী লোপাট করেছে। সেই ফুটেজ ও নথি উদ্ধার ও সংরক্ষণ করা হবে।